বাউফলে জোড়া খুনের প্রধান আসামী মহিউদ্দিন লাভলুকে দল থেকে বহিস্কার

বাউফলে জোড়া খুনের প্রধান আসামী   মহিউদ্দিন লাভলুকে দল থেকে বহিস্কার

                          
 দেলোয়ার হোসেন  :পটুয়াখালীর বাউফলে কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ:সভাপতি রুমান তালুকতার ও যুবলীগ কর্মী ইসরাত তালুকদারের হত্যার ঘটনায় ওই ইউপির চেয়ারম্যান ও কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলা আ’মীলীগের কার্যকরী কমিটির সভা করে বিকেলে উপস্থিত সকলের আলোচনান্তে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চীফ হুইপ,সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি আ,স,ম ফিরোজ,এমপির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেরলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ:সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান, সহ: সভাপতি সামসুল আলম মিয়া,ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়াম বেগম নিশু, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও পেীর-আ’মীলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম টিটু, কেশবপুর আওয়ামীলীগের নেতা আবুল বশার, চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা, চেয়ারম্যান আলকাস মোল্লা ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হারুন-অর রশিদ সহ প্রমুখ।
চেয়ারম্যান মহিউদ্দিনকে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদ ও দল থেকে বহিস্কার করে ইউনিয়নের  যুগ্ন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম টিটুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবং ওই ইউনিয়নের দলীয় কোন্দল সহ জোড়া খুনের ব্যাপরে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে ।
  সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যুবলীগ নেতা তাপস হত্যার প্রধান আসামী জেলা আ’মীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও বাউফল পেীরসভার মেয়ল জিয়াউল হক জুয়েলের বহিস্কারের দাবী করা হয় জেলা কমিটির কাছে।    
উল্লেখ্য, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কেশবপুর কলেজের অধ্যক্ষ সালেহউদ্দিন পিকু ও  ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক  মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল । ওই বিরোধের জেড় ধরে গত ২ আগষ্ট সন্ধ্যায় কেশবপুর বাজরে একটি দোকানের সামনে মহিউদ্দিন লাভলুর লোকজনেরা কুপিয়ে রুমান ও ইসাতকে হত্যা করে ।
 ৪ আগষ্ট বিকালে রুমানের ভাই মফিজউদ্দিন মিন্টু বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামী করে ৫৯জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । এ পর্যন্ত মোট ১৩জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সভার সভাপতি ও সাবেক চীফ হুইপ স্থানীয় সাংসদ আ,স,ম ফিরোজ বলেছেন দলের মধ্যে কোন সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না, সে যেই হউক। সন্ত্রাসী করে আ’মীলীগকে দুর্বল করা যাবে না ।